একটি দরিদ্র গ্রামীণ মেয়ে ষ্টেশন মার্কেটে গন্ধপাতা শাক বেচছিল। দাম জিজ্ঞেস করাতে বললো ভাগা পাঁচ টাকা। আমি পলিপ্যাকে শাক টা দিতে বললাম। মেয়েটা বলল পলিপ্যাকে নেবেন না। ওটা পরিবেশ দূষণ করে। আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
কথা শুনে মনে হল লেখা পড়া জানে। জিজ্ঞাসা করলাম কতটুকু লেখাপড়া করেছিস? জানালো রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ করে এখন DLED করছি।
Tuition তো করতে পারিস। করতাম এখন গ্রামে কেউ টাকা দিতে চায় না। মুখে ব্যর্থতার মলিনতা।আমি তার একটি ছবি নিতে চাইলাম। সূর্যের প্রখর রোদে পুড়ে যাওয়া তামাটে মুখে সে ছবি দিতে অস্বীকার করে বলল আমাদের কিচ্ছু হবে না কাকু। চাকুরী চাই না আর। আমাদের এভাবেই চলবে। আমি জোর করেই ছবিটা নিলাম। মেয়েটি লজ্জায় মুখ ঢাকলো।
আসলে লজ্জা টা ওর নয়। আমাদের। ওর পরাজিত হতাশ মুখটা পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র হয়ে উঠলো আমার কাছে। এক বুক হতাশা আর গ্লানি বোধ নিয়ে বাড়িতে আসলাম। ভাবছি আমাদের ভবিষ্যতের কি করুন ভবিষ্যত।
স্বাধীনতার 75 বছর পালন করতে চলেছি আমরা।
আর এই বাংলা থেকে আজও হাজার হাজার ছেলেমেয়ে চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে, রোজগারের আশায়, আর পাঁচশো টাকার লোভে অশিক্ষিত দের ভোট এ সরকার চলছে রমরমিয়ে।